ইন্টারনেট ব্যবহারে নিরাপত্তা কৌশল চর্চা

নবম শ্রেণি (মাধ্যমিক ২০২৪) - ডিজিটাল প্রযুক্তি - Digital Technology - সাইবার ঝুঁকি সম্পর্কে জানি, তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করি | NCTB BOOK

আগের সেশনে কেউ সাইবার অপরাধের শিকার হলে তার করণীয় সম্পর্কে আমরা জেনেছি। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থা থেকে সাহায্য পাবার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনেছি এবং সেই সকল সার্ভিস নেওয়ার অনুশীলন করেছি। তবে আমাদের সচেতনতা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের তথ্যকে নিরাপদ রাখতে পারে এবং সাইবার অপরাধ থেকে মুক্ত রাখতে পারে।

আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহারে যে কৌশলগুলো ব্যবহার করতে পারি-

টু ফ্যাক্টর অথেন্টিফিকেশন (2 FA) চালু করা; 

সব ডিজিটাল প্লাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করা; 

কম্পিউটার সফটওয়্যার ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার (Apps) গুলো নিয়মিত আপডেট করা; 

সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকা এবং ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য (পিন কোড বা পাসওয়ার্ড) কারো সাথে শেয়ার না করা।

 

এবার আমরা একটি ইমেইল একাউন্ট-এ টু ফ্যাক্টর অথেন্টিফিকেশন (2 FA) চালু করব-

প্রথমে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিফিকেশন (2 FA) বিষয়টি কী জেনে নেই।

 

টু ফ্যাক্টর অথিন্টিফিকেশন-এর অর্থ হচ্ছে যখন আমরা আমাদের ইমেইলে প্রবেশের জন্য ইমেইল আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রবেশ করি তখন আমাদের কাছে একটি এসএমএস অর্থাৎ ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড যা ৬ ডিজিটের হয়ে থাকে) আমাদের মোবাইলে আসে এবং আমরা যখন সেই ওটিপি দেই তখনই কেবল আমরা আমাদের ইমেইলে প্রবেশ করতে পারি।

 

 

নিচের ছবিতে আমরা টু ফ্যাক্টর অথেন্টিফিকেশন (2 FA)-এর তিনটি ধাপ দেখতে পাচ্ছি।

নিচে বর্ণিত তিনটি ধাপ ব্যবহার করে আমরা একটি জিমেইলের টু ফ্যাক্টর অথেন্টিফিকেশন (2 FA) চালু করব-

ধাপ-১:

প্রথমে আমরা একটি ব্রাউজারের অ্যাড্রেসবার-এ Sign in- Google accounts লিখে ক্লিক করে ই-মেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড লিখে একাউন্টটিতে প্রবেশ করব। জি-মেইলের একাউন্টে প্রবেশের পর Manage Your Google Account লেখাটিতে ক্লিক করার পর কম্পিউটার স্ক্রিনের ডান দিকের 'Security' অপশনে ক্লিক করব। এরপর How you sign into Google-এর প্রথম অপশন '2-Step Verification' লেখা জায়গাটিতে ক্লিক করব। নিচের দেওয়া চিত্র- ২.১৫ থেকে আমরা বিষয়টি দেখতে পাচ্ছি। এরপর আমরা Get Started লেখাটিতে ক্লিক করে পরের ধাপে যাব।

 

ধাপ-২:

Get Started লেখাটিতে ক্লিক করে পরের পেইজে প্রবেশ করে আমরা দেখব একটি মোবাইল নম্বর সেট করার অপশন। এখানে আমরা আমাদের পরিবারের কারো একটি সচল নম্বর দিব। তবে এখন কাজটি করা শিখতে আমাদের শ্রেণি শিক্ষকের একটি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে পারি। চিত্র- ২.১৬-এ আমরা একটি মোবাইল নম্বর সেট করা দেখতে পারছি। আমরা Text message লেখা জায়গাটি সিলেক্ট করে Next লেখাটিকে ক্লিক করব।

কিছুক্ষণ পর আমাদের মোবাইলে ৬ ডিজিটের একটি ওটিপিসহ ম্যাসেজ আসবে। অতঃপর সেই ওটিপি-টি Enter the code-এর নিচে লিখে Next বাটনে ক্লিক করব (চিত্র- ২.১৭-এ দেখা যাচ্ছে)।

 

 

এরপর আমাদের স্ক্রিনে আসা পেইজটিতে TURN ON লেখাটিতে ক্লিক করার মাধ্যমে আমরা আমাদের জিমেইল একাউন্টটির 2-Step Verification চালু করব (চিত্র- ২.১৮-এ দেখা যাচ্ছে)।

 

 

প্রদানকৃত মোবাইল নম্বর দিয়ে পরবর্তী সময়ে কোনো কারণে পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে আইডি রিকভার বা উদ্ধার করা যায়। টু ফ্যাক্টর অথেন্টিফিকেশন চালু থাকলে সাইবার অপরাধীর পক্ষে কোনো আইডি হ্যাক করা বেশ কঠিন হয়ে যায়।

বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে এবং বিনোদনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করে থাকি। তবে আমাদের খুবই সতর্ক থাকতে হবে যে, আমরা কোন কোন ব্যক্তিগত তথ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করব। হ্যাকাররা আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোডকৃত বিভিন্ন তথ্য ব্যবহার করে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মাধ্যমে কোনো জরুরিভিত্তিক লেনদেনের ঘটনা সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের অর্থ হাতিয়ে নিতে পারে। এবার আমরা দলীয়ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিরাপদ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের একটি নির্দেশিকা তৈরি করব।

 

কাজের শিরোনাম:

দলের নাম ও সদস্যদের নাম:

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

নির্দেশিকা সমূহ:

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Content added || updated By
Promotion